স্বপন নাথ * কবিতাগুচ্ছ
আদিম
আটকানো গেল না পচা ঝিনুকের দূর্গন্ধ ।
মুক্তো তুলবে বলে কাঁকর পরিসরে তন্নিষ্ঠ ছিল
বিকেল ফুরলে ভ্রূণঘাতী পাঁচিল অন্বয়ী রসসঞ্চয়নে
তুমুল সজারু।
শরীরে শরীর লেগে অটোফ্যাগী বিমোচন আয়াম
জলের গভীরে নেমে ধূমযৌন পানকৌড়ী
খুঁজে নেয় রক্ত আরাম ।
অভিসারে কামিনী আতপ আমিষাসি গন্ধ ছড়ায় ।
কেমোর থেরাপি বিষ রোমে ঠেকে ঊষর মরুভূমি
আমাকে খুবলে খেয়ে ললাট পক্ষে বাতাসা ছড়িয়েছ তুমি ।
হরির লুটের ধূলো ভূঁয়ে পড়ে আগন্তুক আগুন
আত্মদ্বীপে পুড়লো কই আফিম ?
কাঠামোই পুড়লো শুধু ; জলের উপরে নাচে জলজ আদিম।
নক্সা
সন্নিহিত কোণের ঠিকানায় ঠিকরে পড়ে পিঠ ভেজানো আলো ।
এদিকে গরিষ্ঠ রক্ত , ওদিকে লঘিষ্ঠ গণনায়ক
দেয়াল জমকালো ।
আমি তার একপাশে ঘর অন্যপাশে পোষ্ট অফিস
বানিয়ে দেবো বলে
বাড়ির নকশায় রেখেছি স্টুডিও ।
রোজ ছবি তুলি
রোজ ছবি ধুই
বুড়ো সূর্যের আলোয় টাঙিয়ে দিই ভোর ।
যদি কোনোদিন মধ্যদুপুরে নিজের ছায়ায়
চমকে ওঠে থেঁতলানো রোদ-----
ঢেউ ভেঙে দেয়
বারবার বাড়ি ফিরে আসি
শরণার্থী সমীক্ষায় উঠোনে দাঁড়াই ।
দেওয়ালের কার্ণিশভাঙা বালি
মৃতের কঙ্কালের মতো পায়ে ঠেকে কবর চেনায়!
আঁতকে উঠি। অস্থি রাখবো কোথায় ?
জীবীজ ভূত নামাই।
দু পা কুহক পেরিয়ে ডিঙোলে কেঁচোসার
পুরনো আমসরের কয়লা ক্লোরোফিল শিয়র ছোঁয়
জন্মভিটের বাস্তুদেবতা ঢেউ ভেঙে দেয় - - -
বোয়াল
আমাদের ছবি ছেঁড়া দিন ।
দিন মানে প্রোটেম প্রতারক ।
ব্যাকড্রপে আলকাতরা মুখ গুহা
হাঁয়ের ভিতরে চোরা আপাদমস্তক ।
বধ্যভূমির দিকে বাধ্য হরপ্পা প্রস্তুত
নাকি শিব স্বয়ং ত্রিচূড় !
শান্তির অহিংস তেজ জ্বেলেদেবে গুহার অগুরু
সেঁটে যাওয়া থেকে সন্ধি খুলে দেবে অরক্ত চোয়াল ।
কিছুই জানি না ।
মজ্জা খুবলে খেয়ে ধেয়ে আসে অতিকায় বোয়াল ।
দ্বন্ধ মুখরতায় প্রকট দাঁত বের করা ইঁট
সাক্ষ দেয় অতীত সম্পর্ক ।
পলির ভিতরে নুন নাকি নুনের ভিতরে পলি !
পলি নুন ,নুন পলি ---
কাঁধ থেকে নেমে পড়ে পরী
বেঁধে দেয় মানতের ঢিল ।
জলছাপ আকাশ মুখো ক্ষণজন্মা নীল
আকাশ বাধ্যত উপুড় সিঁড়িভাঙা অঙ্কের সামিল।
বোয়াল অতশত বোঝে না ।
মক্সো পুরোটা
শ্বাসমঞ্চে উত্তাপ ঘাই
অপূর্ণ উচ্ছিষ্টে বেদনা।
সিকোয়েন্স বুঝে বরফ কিংবা অম্বল
গায়ে পুরো টয়েটো কম্বল।
আপাতত উপলক্ষ্য লামা।
ধর্মশালায় খুলে দেবে লঙ্গোর ।
মেরুদণ্ডহীন নড়নড়ে চিতি খুবলে খাক ক্যালকেরিয়া।
ছোটমাছ খেতে খেতে ছদ্মবেশে অধরা পটু।
মিত্রভাবে মাতুল শকুনি কাঁধে নেয় আদতভার কুরুর।
লুহু পানে শ্বাপদ জানে বনকপোত চোখে হারায় না ।
জল জানে হাঙরের দাঁত ডুবজলে টিবিয়া ফিবুলা বাদ ।
সতর্ক সন্নিবেশ।চোয়াল বাড়ে না।
বিপদটা বোয়ালে ; বেটা সর্বত্রগামী
ভূর্জপত্র চেটে নেয় কব্জি আঙ্গুল ।
মধ্যযামে কর্ণ কদাচ সৎ
মিত্র বধে স্বয়ং সাধক ; কাঁধে নেয় কুরুর জোয়াল।
দূর্যের এতোই প্রতাপ !
বাঁক পরুতে সড়কি ও টুপিতে আড়াল
মজ্জা খুবলে খেয়ে ধেয়ে আসে অতিকায় বোয়াল ।
*********************************************************************************************************


কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন