মল্লিকা রায় * দুটি কবিতা
হে ধর্ম
ব্রম্মচর্য্য শেষ
হে ধর্ম আমি কি তোমায়
পুং ধর্ম প্রদান করি নি
ঐ যে বিশাল স্কন্ধ
তা কি বিভক্ত বহুধায় ?
হৃদ্ সূচীতে ফল্গু !
সে ও তো প্রবাহের শব্দ শুনি
হস্তযুগল! অবরুদ্ধ কি
বহু আকর্ষে -
সুশ্রী মুখমন্ডলে এ কিসের
লালিত্য ! আমি জানি
রাগ মুহূর্তে এ জ্যোতির উদ্ভব
ধর্ম! সে প্রসাদের
এককণাও কি আমার
প্রাপ্য নয় - অথচ
নির্মাণকালে তোমায় পুং তন্ত্র
আমায় যোনী সম্ভূতার
অর্থ কি আজও দুরূহ
সে কি পাথর চুঁইয়ে
নালা সমৃদ্ধকরণ শুধুমাত্র !
বটবৃক্ষের সমান শরীর
জাতিভেদহীন প্রাসাদোপম ধারণ স্থান
হে ধর্ম ! কেন এত সংস্কার
আমি কি তোমায়
একই গোত্রে সমান্তরিত করি নি
- শেখাই নি কি
নিরন্নের অন্নদান !
আর্তের জলদান !
উদ্বিগ্নের সঙ্গদান !
ব্রম্মচর্য্য শেষে সঙ্কটকালে
এ আমি কোন্ পৌরুষ দেখি !
অব্যর্থ নয়
কে কাকে অব্যর্থ ভেদ করি
এই যে সরঞ্জাম
যাপনের থাল্ পেতে
তীর্থের কাকের মত
অনিশ্চিত -
একটাও সূচি নেই
একটাও পঞ্জি, নিদেনপক্ষে
মাঠ ঘাটের খিলখিলিয়ে ওঠা
একটা ঝলক !
সবে তো বসেছি লক্ষ্যের ঝাঁপি খুলে
এক গাল হেসেছি মাত্র
বায়োপ্সি রিপোর্টের আগে
কথাগুলো বলে ফেলা দরকার
যদি নি:সীম হয়ে
হারিয়ে যায়, ফাঁকা থাকলেই
ভবিতব্য ফ্ফু
ফ্লুরসেন্ট নিয়নের মত
আচমকা উধাও, ঘন্টায় ঘন্টায়
অক্সিজেন ভরেও
রেহাই নেই ! তুলোর ফোম ছেড়ে
হয়তো সে বিচুলি গাদায়
ঝড় তুলতে ব্যাস্ত !
*********************************************************************************************


কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন