সোমবার, ২ অক্টোবর, ২০২৩

ছোটন গুপ্ত

 



ছোটন গুপ্ত *দু'টি কবিতা







ভালোবাসবি 

বাসতে ভালো আকাশকে দ্যাখ নীলসীমানায়,

প্রেমিক রে তোর একগুঁয়েমি চলবে না আর ।

ভরসা রাখিস আঁধার শেষের আলোয় ছায়ায়

মান অভিমান জমাস না কেউ, হাসবি আবার ।


প্রেমিকা তোর গনগনে আঁচ একটু কমুক

শান্তি চাওয়া খুব বেশি নয়, মানবি তো ঠিক ।

ভালোবাসার সাতসুরে গান এখন চলুক

আগুন যদি মনকে পোড়ায়, ছাই সবদিক ।


অনুভবের পঙক্তি কয়েক রাখবি মনে,

আলোর পাখির গান শুনে যাস দু'জন এসে ।

দেখবি সবুজ গাছ ছায়া রোদ ভোর গগনে

মেঘের ভেলায় আলোর খেলায় বাঁচবি হেসে ।


গ্রীষ্ম বর্ষা শরৎ শীতে ফারাক থাকেই,

বাগানে যে লকলকে গাছ, যত্নে রাখিস ।

মেঘলা আকাশ আসতে পারে ব্যস্ত বাঁকেই 

মুছবি কালো বাসবি ভালো আলোয় থাকিস ।












ছুটির কবিতা

আজকে থাক, যাক ঘুমাক, প্রতিশ্রুতির ছুটি,

বাঁধতে মানা রাতবিরেতে খোলাখাতায় খুঁটি ;

ইচ্ছে কিসের মিথ্যে দিশের সত্যের অপলাপে–

দিন কেটে যায় অপেক্ষাতে, রাত্রি জাগা পাপে ।


ভোর হলে তোর অচল কথায় আলোর প্রলেপ নামে,

ভাঁজ ঢেকে আজ যেদিক যা কাজ ফিরিস শূন্য ধামে ।

সেই যেখানে গল্পে গানে সবুজ বাগান জুড়ে

পাখির ডাকে আলোর ফাঁকে গাছের ছায়া খুঁড়ে–


শেকড় খোঁজে জলের ধারা, শেকড় দু'চোখ বোজে,

কবিতারা পায় সাহারা কলম যে সব বোঝে ;

কলম কালির চোখের বালি আখর খালি জানে,

এক পৃথিবীর স্বপ্ন হারায় নিত্য অসম্মানে !


আর যা কিছু আর যা বলার বলতে মানা জানি,

ঘুম না এলে বিছনা ফেলে আঁধার বাবুয়ানি ।

এমনি করেই যায় যদি দিন যায় যদি রাত যাবে,

তারপরে কী, তারপরে তো সকাল আলো পাবে ।


আলোর পথিক খুঁজতে আলো কোথায় যাবে বলো,

সেই গানটাই হয়নি গাওয়া ইচ্ছে হলেই চলো ।

একদিন ঠিক জানবে পথিক হৃদয় কাটাছেঁড়া,

অনিচ্ছেদের বারদুয়োরে থাক নিষেধের বেড়া ।



***********************************************************************************************************




ছোটন গুপ্ত

ছোটন গুপ্ত। পোশাকি নাম-প্রবীর দাশগুপ্ত হলেও কবিতা লেখেন মূলতঃ ছোটন নামে। জন্ম ১৯৬৪ সালের ডিসেম্বরে। পেশায় উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অর্থনীতির শিক্ষকের ভালোবাসার জগৎ কবিতা।‌ এ পর্যন্ত প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ সংখ্যা ছয়টি। 'আগুন বৃষ্টি ভালোবাসা', 'ফিনিক্স আয়', 'দহনকালের কবিতা', 'নীরবতার শব্দমালা' 'অশোক লিপি' এবং 'ছেঁড়া স্বপ্ন অথবা' । সমাজ নিরপেক্ষতা বলে কিছু হয় বলে কবি মানতে চান না। তাই লেখায় ফুটে ওঠে সমাজের সমূহ অসঙ্গতি। খেটে খাওয়া মানুষের মুক্তির স্বপ্ন জাগিয়ে রাখে কবিকে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন